করোনার দাপটে নিস্তেজ বৃহত্তম যৌনপল্লী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ◑ সারা বিশ্ব এখন লড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সাথে। অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে অসম লড়াইয়ে নেমে মানুষ এখনও তেমন একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি প্রতিদিন একদিকে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, আরেকদিকে বাড়ছে লাশের সংখ্যা।

পরিস্থিতি ভালো করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও তাতে এখন কার্যত আশারো কোনো আলো এখনও দেখা যায়নি।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসবের ফলশ্রুতিতে চেহারা পাল্টেছে এশিয়ার বৃহত্তম যৌনপল্লীরও।

রাত বাড়লেই জমজমাট হয়ে উঠত ওই এলাকা। তবে, গত কয়েকদিন ধরেই সেই চেনা ছবি নেই। ফাঁকা ভারতের যৌনপল্লী সোনাগাছি। খদ্দেরের সংখ্যা কমেছে চোখে পড়ার মতো। এতে মাথায় হাত যৌনকর্মীদের। করোনা ভাইরাসের বিস্তারের পর থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ খদ্দেরের আনাগোনা কমেছে।

যৌনকর্মীদের কথায়, অনেকেই বলছেন নোট বাতিল পর্বে ধাক্কা খেয়েছিল ব্যবসা। কিন্তু, এই ধারা আর কয়েকদিন চলতে থাকলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে।

যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য় ও উপদেষ্টা স্মরজিৎ জানা ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভয়ঙ্করভাবে কমেছে খদ্দেরের সংখ্যা। সাধারণত প্রত্যেকদিন প্রায় ১২ হাজার মানুষ সোনাগাছিতে আসেন। গত তিন-চার দিন ধরে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ-ছয় হাজারে। ফলে, কাজ কমছে মেয়েদের। টান পড়ছে পকেটে।’

সোনাগাছিতে প্রায় সাত হাজার যৌনকর্মী বাস করেন। দিনে প্রায় আরও তিন হাজার নারী সেখানে যান।করোনা ভাইরাসের কারণে দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে এক যৌনকর্মীর বলেন, ‘যৌন আনন্দ দিয়েই আমাদের পেট চলে। এই পরিস্থিতিতে হাতে টাকা আসছে না। কীভাবে পেট চলবে তা ভেবে পাচ্ছি না।’

আরেকজন বলেন, ‘অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। করোনা আতঙ্কে কেই এই এলাকা মুখো হচ্ছেন না। আগে প্রত্যেক দিন অন্তত চারটে খদ্দের পেতাম। গত তিন-চারদিন ধরে কাজই নেই।’